Syria: Russia gave asylum to deposed Syrian President al-Assad, Kremlin confirms

Syria: ক্ষমতা হারিয়ে রাশিয়ার দ্বারে আসাদ, আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা পুতিন সরকারের

রবিবারই সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস ছেড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর গন্তব্য নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। সোমবার সকালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল, রবিবারই মস্কো পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁর পরিবার আগেই মস্কো পাড়ি দিয়েছেন। এ বার ক্রেমলিন নিশ্চিত করল বাশারকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আগেই মস্কোর তরফে দাবি করা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই দেশ ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিমানে দেশ ছাড়েন। ধোঁয়াশা ছিল দেশত্যাগী আসাদের গন্তব্য নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিষয়টিও প্রকাশ্য়ে এল।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানভ বলেন, ‘আসাদ এবং তাঁর পরিবার মস্কোয় সুরক্ষিত। খারাপ সময়ে রাশিয়া তার বন্ধুদের হাত ছাড়ে না, বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এটাই রাশিয়া আর আমেরিকার মধ্যে তফাৎ।’ মানবিকতার বিষয়টি বিবেচনা করেই রাষ্ট্রনেতা ও তাঁর পরিবারকে এই আশ্রয়দান বলে উল্লেখ করা হয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলিতে।

এ দিকে, সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে জঙ্গি গোষ্ঠী ISIS-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে আমেরিকা। রবিবার মধ্যরাত থেকেই এই হামলা শুরু করেছে বাইডেনের দেশ। এ খবরে সিলমোহর দিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় থাকা অন্তত ৭৫টি ISIS ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে তারা। এ নিয়ে রবিবার বিবৃতিও দিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, ‘ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ISIS সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নেবে। আমেরিকা বিষয়টি জানে। আমেরিকা তা কখনওই হতে দেবে না।’ তাঁর নির্দেশেই রবিবার আমেরিকার সামরিক বাহিনী আকাশপথে গোলাবর্ষণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন। আসাদ সরকারের পতন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার নিপীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’