থাইল্যান্ডের নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। আহত হয়েছেন আর অন্তত ৪১। আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত। চোনবুরি প্রদেশের মাউন্টেন বি নাইট ক্লাবে তখন চলছে উদ্দাম নৃত্য, হইহল্লা। তারই মাঝে আচমকাই আগুনের হলকা। ভয়ঙ্কর আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল অন্তত ১৩ জনের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও অন্তত ৪১ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সাড়ে এগারোটা নাগাদ আচমকাই মাউন্টেন বি নাইট ক্লাবে আগুন লেগে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
আরও পড়ুন: Ivana Trump: প্রয়াত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা, বিচ্ছেদের সময় তুলেছিলেন ধর্ষণের অভিযোগ
চোনবুরির পুলিশ কর্নেল উত্তিপং সোমজাই বলেন, ‘‘রাত একটা নাগাদ আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। দ্রুত সেখানে পৌঁছই। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এখনও পর্যন্ত যা খবর পেয়েছি, মৃত ও আহতরা সকলেই তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। বাইরের কেউ ছিলেন না। মৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা এবং নয়জন পুরুষ রয়েছেন।’’
উদ্ধারকারী দলের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নাইট ক্লাব থেকে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে আসছেন বহু মানুষ। তাদের অনেকের গায়ে দাউ দাউ করে করে জ্বলছে আগুন। ক্লাবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাবের দেওয়ালে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, নাইটক্লাবগুলির প্রতি পুলিশের কড়া নজরদারির অভাবেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অতীতে থাইল্যান্ডের একাধিক নাইট ক্লাবে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯ সালে ব্যাংককের সানকি সান্তিকা ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। যার ফলে ৬৭ জন নিহত হয়েছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন। এছাড়াও ২০১২ সালে হলিডে দ্বীপের একটি ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে মৃত্যু হয়েছিল চার জনের।
আরও পড়ুন: Al-Zawahiri: আল কায়দার শীর্ষনেতা জওয়াহিরি নিহত আমেরিকার ড্রোন হানায়! জানালেন বাইডেন