বিশ্বজুড়ে সবার চোখ আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে। এখানেই ১১০ বছরেরও বেশি সময় আগে ডুবে গিয়েছিল সেই সময়ের পৃথিবীর বিস্ময় সৃষ্টিকারী জাহাজ টাইটানিক। সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে হারিয়ে গেছে সাবমার্সিবল টাইটান। যানটিতে থাকা ৫ জনের জন্য ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। সেই সময় এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্ধারকারীরা রীতিমতো সময়ের সাথে যুদ্ধ করছেন।
সমুদ্রের নীচে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এলাকা ঘুরিয়ে আনতে ভ্রমণ পরিকল্পনা করে থাকে ওশানগেট নামের কোম্পানি। আরোহীদের পোলার প্রিন্স নামে জাহাজে করে প্রথমে আটলান্টিকের উপর টাইটানিক ডুবে যাওয়ার জায়গাটায় নিয়ে যাওয়া হয়।তারপর সেখান থেকে টাইটান নামের ওই সাবমার্সিবল বা ছোট আকারের সাবমেরিনে করে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীরে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের মুখোমুখি করা হয়।
এই পুরো সময় সাবটি পোলার প্রিন্স জাহাজের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে। কিন্তু রবিবার, সাবটি ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে জাহাজের সাথে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সবশেষ ডেটা অনুযায়ী সাবটি তিন হাজার আটশ মিটার গভীরে ছিল।
টাইটান যে অঞ্চলটি নীচে নেমেছিল সমুদ্রের স্রোত সেখান থেকে সাবটিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এই ধারণা থেকে ফ্রান্সের রোবটিক্যালি অপারেটেড ভেহিকল-আরওভি পানির প্রায় চার কিলোমিটার গভীরে পাঠানো হয়েছে।যানটির সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছানোর সক্ষমতা রয়েছে বলে জানা যায়।
উদ্ধার অভিযানে কানাডার নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, উপকূলরক্ষী, নিউ ইয়র্কের বিমান বাহিনী কাজ করছে।
ইতোমধ্যে ১০টি অতিরিক্ত জাহাজ এবং বেশ কয়েকটি সাবমেরিন আজ উদ্ধার কাজে যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে উদ্ধারকারীরা বলছেন যে তারা “আশাবাদী”। কারণ নিখোঁজ সাবমার্সিবলের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।তবে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ক্যাপ্টেন বলেছেন: “সত্যি বলতে, আমরা এখনও জানি না তারা কোথায় আছেন।”
ফ্রান্সের ডিপ-সি আন্ডারওয়াটার রোবট নিখোঁজ টাইটানিক সাব রেকের কাছে পৌঁছেছে বলে খবর। ওসানগেটের যে সাবমেরিন ৫ পর্যটককে নিয়ে আটলান্টিকের গভীরে নিখোঁজ এখনও পর্যন্ত, তার খোঁজে একটি ফরাসি রোবট মহাসাগরের তলদেশে পৌঁছেছে বলে খবর। ফ্রান্সের ওই রোবট জাহাজে কোনও মানুষ নেই বলে জানা যাচ্ছে। ওসামগেটের সাবমেরিন টাইটেন ৫ পর্যটককে নিয়ে আটলান্টিকের তলদেশে প্রবেশ করার ২ ঘণ্টার মধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পাইলট জাহাজের।