বেড়েই চলেছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা! দুই দেশ যেন পরিণত হয়েছে শ্মশানে ( Syria Earthquake)। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে পড়া দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার করেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে সেই দু’দেশের প্রশাসন। আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ৪০ হাজার।
ভেঙে পড়া বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার হচ্ছে কেবল মৃতদেহ। মৃতের পাহাড় জমছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে। চারিদিকে শুধু কান্নার রব আর খাবারের জন্য আর্তনাদ। এরই মধ্যে তীব্র ঠান্ডা এবং শৈতপ্রবাহের কারণে বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজেও। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে উদ্ধারকারী দল সিরিয়ার সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে উদ্ধার নামলেও বিশেষ লাভ হয়নি। বিপর্যয় মোকাবিলার নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল তুরস্ক সরকার। উদ্ধারকাজে সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্টও।
আরও পড়ুন: BBC Documentary: গুজরাত দাঙ্গার ভুত ! বিবিসির তথ্যচিত্রের সমর্থন আমেরিকার
একের পর এক লাশ জমে পাহাড় তৈরি হচ্ছে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় (Turkey Earthquake)। তারই মধ্যে প্রাণের স্পন্দনে চমকে উঠছেন উদ্ধারকারীরা। এভাবেই ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে এক ছোট্ট ভাইবোন, মিলেছে ৬ বছরের এক শিশুর কান্নার শব্দ। কিন্তু সবচেয়ে মিরাকেল ঘটিয়ে প্রাণে বেঁচেছে, এক সদ্যোজাত। তাকে যখন উদ্ধার করা হয়েছিল মৃত্যুপুরী থেকে, তখনও তার মায়ের শরীরের সঙ্গে জুড়ে ছিল নাড়ি। যদিও প্রাণ ছিল না মায়ের। তিনি মারা গিয়েছিলেন আগেই, হয়তো সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই। কেবল মা নয়, ওই একরত্তির বাবা ও অন্য চার ভাই-বোনও ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে।
এই অবস্থায় শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রেখেছেন উদ্ধারকারীরা। তার নাম রাখা হয়েছে, আয়াহ্ । আরবিতে এই শব্দের অর্থ, অলৌকিক। উদ্ধার করার সময়ে শরীরে অনেক চোট ছিল তার। ছিল শ্বাসকষ্টও। এখন ভাল আছে সে। আয়াহ্কে উদ্ধার করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল দিন কয়েক আগেই। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সারা দুনিয়া থেকে আবেদন আসছে শিশুটিকে দত্তক নিতে চেয়ে। তবে এখনই তাকে দত্তক দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা করছে, তার কোনও আত্মীয় যদি আসে খবর পেয়ে।
আরও পড়ুন: Jill Biden: কমলা হ্যারিসের স্বামীর ঠোঁটে উষ্ণ চুম্বন বাইডেনপত্নীর! আচমকাই হইচই আমেরিকায়