১৪ বছর পরে ক্ষমতার পালাবদলের বার্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোটপর্ব শুরু হল ব্রিটেনে। জনমত সমীক্ষার ফল সত্যি হলে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) দ্বিগুণ ভোট এবং তিন গুণ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে কিয়ের স্টার্মারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ (Britain) রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের। এমনকি নিজের কেন্দ্র রিচমন্ড থেকে হেরেও যেতে পারেন সুনাক (Rishi Sunak)। ১০০রও কম আসন যেতে পারে কনজারভেটিভদের দখলে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্স’-এ মোট আসন ৬৫০। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ‘জাদু সংখ্যা’ ৩২৬। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এবং জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, লেবার পার্টি এ বার ৪০০-র বেশি আসন পেয়ে ১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের ইতি টানতে চলেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (ভারতে দুপুর সাড়ে ১২টা) শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। তার পরেই শুরু হবে গণনা। রাত ১২টায় প্রকাশিত হবে প্রথম ফল। তার পরের ফল প্রকাশিত হবে যথাক্রমে রাত ৩টে, ভোর ৪টে, ভোর ৫টা এবং সকাল ৭টায়। শুক্রবার সকালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী ৫ বছরের জন্য ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা কে হতে চলেছেন।
তবে লেবার পার্টির নেতা কের স্টার্মারের কপালেও চিন্তার ভাঁজ রয়েছে। কারণ অভিবাসী বিরোধিতার জন্য অশ্বেতাঙ্গ ভোটাররা মুখ ফেরাতে পারেন লেবার পার্টির দিক থেকে। পাশাপাশি একাধিক কট্টরপন্থী দলও ভালো ভোট পেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। উল্লেখ্য, সবমিলিয়ে নির্বাচনে লড়ছে ৯৮টি দল। মোট ৪৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল ব্রিটেনে। সেবার ৩৬৫টি আসন গিয়েছিল বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভদের দখলে। ২০২টি আসন পেয়েছিল লেবার পার্টি।