আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমী দেশগুলি বারংবার হুঁশিয়ার করেছিল রাশিয়াকে। তবে সেই সব সতর্কবার্তাতে কর্ণপাতই করলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকালই ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিযন্ত্রণে থাকা ডোনেত্সক ও লুহানৎসকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। আর এরপরই ডোনেত্সাকের সড়কে দেখা মিলল ট্যাঙ্কের।
সোমবার সরকারি সংবাদমাধ্যমে আবেগ মেশানো বার্তায় পুতিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে ডোনেত্সক গণপ্রজাতন্ত্রী এবং লুহানৎসক গণপ্রজাতন্ত্রীর স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। যে সিদ্ধান্ত দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল।’ সেই ঘোষণার পরই সরকারি সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয় যে ক্রেমলিনে বসে ডোনেত্সক এবং লুহানৎসকের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে, ইউক্রেনকে তোপ দাগার পাশাপাশি এক ঘণ্টার ভাষণের শেষে রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলকে তাঁর সিদ্ধান্তের সমর্থন করার আর্জি জানান পুতিন। এমনিতে পুতিন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার ভোট দেবে রাশিয়ার সংসদের নিম্ন এবং উচ্চকক্ষ।
আরও পড়ুন: বেজোসের প্রমোদতরীর জন্য ভাঙা হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন ব্রিজ, ‘পচা ডিম’ ছুঁড়ে প্রতিবাদ ডাচেদের
ইউক্রেন শান্তি বজায় রাখতে চায়। কূটনৈতিক আলোচনা এবং পন্থার মধ্য দিয়েই সেই কাজ চালিয়ে যেতে চায়। তবে রাশিয়ার হাতে কোনও ভাবেই নিজেদের ভূখণ্ড তুলে দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার এমনই বার্তা এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। তঁর অভিযোগ, মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করে অস্থির পরিবেশ তৈরি করছে রাশিয়া। এর পরই তাঁর মন্তব্য, “আমরা শান্তি বজায় রাখতে এবং কূটনৈতিক পন্থা মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেটাই আমরা করব।” তবে রাশিয়ার চোখরাঙানিতে ইউক্রেন যে কোনও ভাবেই ঝুঁকবে না সেই বার্তাও দিয়েছেন জেলেনস্কি। ইতিমধ্যেই তিনি জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। মিত্র দেশগুলিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Volkswagen: মাঝসমুদ্রে পুড়ে ছাই কোটি কোটি টাকার পোরসে, ল্যাম্বরগিনি! মাথায় হাত কোম্পানির