যেন চাপ আর পালটা চাপের খেলা। রাশিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রস আর প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মস্কো। পাশাপাশি, ব্রিটিশ সরকার এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আরও ১০ জনের বিরুদ্ধেও জারি হতে চলেছে নিষেধাজ্ঞা। ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিভিন্ন আধিকারিকদের ব্রিটেনে প্রবেশে না-করে দিয়েছে। এই অনভিপ্রেত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই পালটা নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা জানিয়েছে মস্কো। এতেই শেষ নয়। তালিকাটা আরও বাড়তে পারে বলে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘লন্ডন যেভাবে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন করার জন্য উদ্যত হয়েছে এবং আমাদের দেশকে সীমাবদ্ধ করতে ও আর্থিকভাবে শ্বাসরোধ করতে চাইছে, তারই প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’ সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ‘ব্রিটিশ নেতৃত্ব ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের আশপাশের পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। কিয়েভকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: Pakistan: শাহবাজ শরিফই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, বড় মন্ত্রিত্বে বেনজির পুত্রও
এর আগে ইউক্রেনে হামলার প্রেক্ষিতে পুতিন ও তাঁর সহযোগীদের যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করেছে আমেরিকা ও তার সঙ্গে থাকা ন্যাটোভুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক দুনিয়া থেকে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করতে নানা প্রস্তাব এনে রাষ্ট্রসংঘে পাশ করিয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো দেশগুলো। তবে, এই সব প্রস্তাবে বারবার দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫০টির মতো দেশ ভোটাভুটিতে অংশই নেয়নি। তার মধ্যে চিন এবং ভারতও রয়েছে। যার ফলে আমেরিকা এবং ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর প্রস্তাব পাশ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছে।
এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওই সব দেশ। পাশাপাশি, কোনও রুশ কূটনীতিবিদদেরও গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে বের করে দিয়েছে জার্মানি-সহ বিভিন্ন দেশের সরকার। তার পরও ভাঙলেও মচকাতে নারাজ রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পাশ হওয়ার পর রাশিয়া পরিষদ থেকে নানা কারণ দেখিয়ে নিজেই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, এখন চলছে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদদের এবং সেই সব দেশের সরকারের প্রধানদের রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি। সেই নিষেধাজ্ঞাই এবার জারি হল আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার প্রধানদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Pakisthan: প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেই ছেলেকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করলেন শাহবাজ শরিফ