সমস্ত প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিয়ে কিয়েভে (Kyiv) ঢুকে পড়ল রুশ বাহিনী। রাস্তায়-রাস্তায় চলছে তুমুল সংঘর্ষ (Russia-Ukraine War)। সব মিলিয়ে রাশিয়ার (Russia) আগ্রাসনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে ইউক্রেনের সর্বত্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কৃষ্ণসাগরে রোমানিয়ার একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে মস্কো।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের যুদ্ধেই ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ এবং চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ সেনা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষিত ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক (পূর্ব ইউক্রেনের এই দুই অঞ্চলকে একত্রে ডনবাস বলা হয়) এর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী রুশ সেনা খারকিভ দখলের পর কিভ অভিমুখে যাত্রা করে। অন্যদিকে, উত্তরে বেলারুশ সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়া একটি রুশ ব্রিগেড বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চেরনোবিল দখলের পরে একই উদ্দেশ্যে এগোতে থাকে। মনে করা হচ্ছে রুশ ট্যাঙ্ক ডিভিশনের ওই বাহিনীটিই কিয়েভের সবচেয়ে কাছে রয়েছে।
রুশ বাহিনীর তৃতীয় আক্রমণের কেন্দ্র ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ। সেখানে কৃষ্ণসাগরে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক রুশ রণতরী। সেই সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে সেনা অবতরণের উদ্দেশ্যে ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল্’। সেগুলির সাহায্যে দক্ষিণ ইউক্রেনের উপকূলবর্তী মারিউপোল এবং ওডেসায় রুশ বাহিনীর অবতরণের খবর মিলেছে।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রতিবেশী নেটো সদস্যরাষ্ট্রগুলির সুরক্ষায় তৎপর হয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সূত্রের খবর, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরিতে মোতায়েন নেটো বাহিনী ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে।