বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরেই সীমান্তে সক্রিয় হয়েছে রুশ ফৌজ। সোমবার রাতে পুতিন ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেখানে রুশ সেনার অনুপ্রবেশেরও খবর মিলেছে। ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ। মস্কো-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিও সেখানে সক্রিয়। তাদের সাহায্যে এই অঞ্চল থেকেই রুশ সেনা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান শুরু করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের (Ukraine)। কিয়েভের আকাশে চক্কর কাটা রাশিয়ার ৫টি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামাল ইউক্রেন সেনা। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে মিলেছে এমনই খবর।
এরইমধ্যে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। রাশিয়ার হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, জখম হয়েছেন ৯ জন।রাশিয়ার হামলার পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ইংল্যান্ড ও তাদের সহযোগী দেশগুলি হামলার সমুচিত জবাব দেবে।
ইউক্রেনে হামলার পর ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি করছে। রিপোর্ট অনুসারে, ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশ একযোগে রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে। ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্টিকেল-৪ এর ব্যবহার করতে পারে। ন্যাটো-র পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, লুগানস্ক অঞ্চলে পাঁচটি রুশ বিমান ও একটি রুশ হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামানো হয়েছে।
এই মুহূর্তে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশ রয়েছে মূল ইউক্রেন ভূখণ্ডের (ডনবাস সীমান্ত ব্যতীত) সীমান্তে। লক্ষাধিক সেনার পাশাপাশি কামান, ট্যাঙ্ক এবং ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। অন্তত এক ডজন বিমানঘাঁটিতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিগ-৩৫, সুখোই-৩৫ স্কোয়াড্রনগুলি। ম্যাক্সারের সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্র দেখিয়েছে, দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের উদ্দেশ্যে রুশ বায়ুসেনার এমআই-২৬-সহ ভারী হেলিকপ্টারগুলিও রয়েছে সেখানে।