সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার এক সেনা নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই প্রথম কোনো সেনা নিহতের খবর জানাল দেশটি। ওই সেনার মৃত্যুর পিছনে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করেছে ইউক্রেন। এদিকে সেনার মৃত্যু ইউক্রেনে রুশ হামলার আশঙ্কাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে এএফপি জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Jo Biden) শুক্রবারই বলেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত, পুতিন আগামী দিনে ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইউক্রেন সীমান্তের আশেপাশে মোতায়েন করা সেনাবাহিনী স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে রাশিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেন এবং তার কাছাকাছি অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক কর্মী সংগ্রহ করছে।
এই সপ্তাহে তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বেলারুশ, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল এবং ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পশ্চিম রাশিয়া (Belarus, the annexed Crimea region of Ukraine and western Russia near Ukraine’s border) জুড়ে একাধিক স্থানে সামরিক কার্যকলাপ চলছে। ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর বিমান ঘাঁটিগুলিতে এসেছে বিপুল সংখ্যক রুশ যুদ্ধবিমান। ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া পাঁচটি বিমানঘাঁটি থেকে তোলা উপগ্রহচিত্রে রুশ বায়ুসেনার গতিবিধির চিহ্ন মিলেছে। সামরিক হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নানা সামরিক সরঞ্জামও মজুত করা হচ্ছে সেখানে।
আরও পড়ুন: Austrailian Embassy: মহিলাদের বাথরুমে ‘স্পাই ক্যামেরা’! গ্রেফতার সন্দেহভাজন
ক্রমে আরও উদ্বেজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইউক্রেনে। খবর পাওয়া গিয়েছে ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে (Ukraine-Russia Conflict), অর্থাৎ রাশিয়ার দিকের সীমান্ত জুড়ে সোভিয়েতপন্থী সশস্ত্র রাজনৈতিক কর্মীরা গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অনাক্রমণ চুক্তি বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রাশিয়া (Ukraine-Russia Conflict)।
এই সপ্তাহেই মিউনিখ সিকিউরিটি কবফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। বাইডেন মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি জার্মানিতে চলে গেলেই ইউক্রেনে ঢুকবে রাশিয়ার সেনা। সেই কারণে এই সময়ে রাষ্ট্রপতির সফর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: এক মাসের বৃষ্টি তিন ঘণ্টায়! বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ব্রাজিলে মৃত ১১০, নিখোঁজ বহু