ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এবং মিশরের মাঝে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ৪৪ হাজার বোতল পানি পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইউনিসেফ বলছে, ৪৪ হাজার বোতল জল বড়জোর একদিনের জন্য ২২ হাজার মানুষ পান করতে পারে ।গাজার জনসংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ।ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার ১০ লাখ শিশু এখন গুরুতর মানবিক সংকটের মুখোমুখি। সরবরাহ করা এসব সীমিত পানি তাদের জীবন বাঁচাতে পারে। তবে সেখানে প্রয়োজনগুলো অনেক বেশি তাৎক্ষণিক। তা শুধু পানির জন্য নয়; খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যও।
আরও পড়ুন: Winter vegetables: টবেই এইভাবে চাষ করুন শীতের শাকসবজি, পান হাতে গরম রেজাল্ট
এদিন রাফাহ সীমান্ত দিয়ে নির্ধারিত ২০টি ত্রাণবাহী গাড়ি গাজায় প্রবেশ করে। এসব গাড়ির মধ্যে একটিতে কফিন বোঝাই ছিল এবং বাকিগুলোতে খাবার ও চিকিৎসা সামগ্রী ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী, শিশু ও প্রবীণ। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ৮৪ ফিলিস্তিনি।
আরও পড়ুন: Durga puja: তুঙ্গে চাহিদা, কমছে জোগান, সপ্তমীতে কলকাতার এক-একটি পদ্মের দাম ৫০ টাকা
গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬টি শিশু রয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনি নারীর সংখ্যা ৯৬৭। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত নারী ও শিশুর সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই দুই হাজারের বেশি।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানির অভাবে গাজায় ৭টি হাসপাতাল ও ২৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে অন্য হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, যেগুলোতেও চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামের সংকট রয়েছে। ওই হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার ১৫০ শতাংশ বেশি রোগী ভর্তি করা হয়েছে।