এই যুদ্ধের সময় পোল্যান্ড যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের গতিপ্রকৃতি এবং এই যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া মানবাধিকার সঙ্কট নিয়ে তিনি কথা বলবেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদার সঙ্গে।
হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইউক্রেনের জনগণের পাশে থাকার উদ্দেশ্যে বিশ্বকে একজোট করতেই বাইডেনের এই সফর।’
রবিবার রাতে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, সফরের শুরুতে বাইডেন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে যাবেন। পরে তিনি সেখান থেকে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। পোল্যান্ড ছাড়াও ইউরোপে আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার কথা রয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে যাওয়ার তাঁর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে হোয়াইট হাউসের তরফ জানানো হয়েছে। এ মাসের গোড়ার দিকে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে পোল্যান্ডকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, পোল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার সেনা রয়েছে। এছাড়া এই দেশটি ইউক্রেন থেকে শরণার্থী হিসেবে আসা ২০ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। শনিবার অর্থাৎ ২৬ মার্চ বাইডেন পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ যাবেন এবং সেখানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: Russia-Ukrain War: ইউক্রেন থেকে ভারতীয় দূতাবাস সরছে পোল্যান্ডে
এর আগে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করতে মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল পোল্যান্ড। তার জন্য আমেরিকার বিমানবন্দর ব্যবহার করার আবেদন জানায় তারা। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় আমেরিকা। যুক্তি হিসাবে তারা বলে এই প্রস্তাব সমগ্র নেটো জোটের কাছে ‘উদ্বেগের কারণ’ হতে পারে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে নেটো সরাসরি কোনও সক্রিয় মনোভাব না দেখালেও ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে লড়াই ব্যক্তিগত ভাবে পাশে দাঁড়াতে চাইছে নেটোভুক্ত কয়েকটি দেশ। পোল্যান্ড তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু হোয়াইট হাউস চাইছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একজোট হোক ইউরোপের দেশগুলি। সূত্রের খবর, সে কারণেই ইউরোপ সফরে বেরোচ্ছেন জো বাইডেন। জানা গিয়েছে , বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাঘি এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল চিনা বিমান, হতাহতের সংখ্যা এখনও অজানা