ইমরান সরকারের পতন হওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানান সদ্য স্পিকারের আসনে বসা আয়াজ সাদিক। রবিবার সকালেই বিরোধীরা জানিয়ে দিলেন, শাহবাজই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সোমবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে। এখনও পর্যন্ত শাহবাজ ছাড়া আর কেউ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হননি। স্বভাবতই তাঁরই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়া এক প্রকাশ নিশ্চিত।
পুরো নাম মিয়া মহম্মদ শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর।দাদা নওয়াজ শরিফের যা ছিল না। ঐতিহাসিক ভাবে দেখা গিয়েছে ২২ কোটি মানুষের এই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ন্ত্রণ করে পাক সেনা। সেখানে পাক সেনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ক্ষমতায় থাকার অন্যতম মূল চাবিকাঠি পাকিস্তানে।
একাধিকবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শেহবাজ শরিফ। সেই সময় চিনের CPEC প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে বেজিংয়ের কর্তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন শেহবাজ। উল্লেখ্য, শেহবাজ তিন দফায় ১২ বছর ধরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। পঞ্জাবের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ এবং পবর্তীতে টানা দুই দফায় ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ। ২০১৮ সাল থেকে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শেহবাজ বিরোধী দলনেতার পদ সামলেছেন।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের রানির থেকেও বেশি সম্পত্তি! কর এড়িয়ে বিতর্কে ইনফোসিস কর্তার মেয়ে
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শেহবাজকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়েছিল। তিনি ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসেন। ২০১৭ সালে প্রকাশিত পানামা পেপারসে নওয়াজ শরিফের নাম থাকার পর শেহবাজ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পার্টির প্রধান হন। পঞ্জাবের রাজনীতি ছেড়ে সেই প্রথম জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর।
আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের ‘ভালো সম্পর্কে’ বিশ্বাসী শেহবাজ শরিফ। উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পর থেকেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ কের এসেছেন যে তাঁর সরকের পতনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শেহবাজ তাঁর দাদার মতোই মার্কিনপন্থী নীতিতে বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: Sri Lanka: সমর্থন প্রত্যাহার ৪১ সদস্যের,পার্লামেন্টে গরিষ্ঠতা হারাল শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষ সরকার