Why Chinese officials dialling newlyweds to know about baby’s arrival?

China one child polic : ‘বাচ্চা কবে হবে’, নবদম্পতিদের প্রশ্ন চিন সরকারের

বারবার প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘বাচ্চা কবে হবে?’ ‘এক সন্তান নীতি’র ধাক্কায় ক্রমে সংকুচিত হয়েছে জনসংখ্যা। অদূর ভবিষ্যতে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে। ফলে ভাবনার শেষ নেই চিনের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের। তাই দ্রুত নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে অভিনব পন্থা নিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

স দ্যবিবাহিত এক মহিলা জানিয়েছেন, তিনি গর্ভবতী কি না, তা জানতে চেয়ে স্থানীয় প্রসাশনের কাছ থেকে একটি ফোন আসে। সেই অভিজ্ঞতা নেটদুনিয়ায় শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। কয়েক হাজার ইউজার জানান, তাঁদেরও একই অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে। এদিকে কমেন্টের বন্যা বইতেই পোস্টটি মুছে ফেলে সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, টুইটারের ধাঁচে তৈরি চিনা মাইক্রোব্লগিং সাইট ‘ওয়েইবো’-তে এই প্রসঙ্গে আলোচনা তুঙ্গে।

“বিয়ের এক বছরের মধ্যেই মহিলারা গর্ভধারণ করুক তা চাইছে সরকার। তিন মাস অন্তর এই বিষয়ে ফোন করে খোঁজ করার নির্দেশ রয়েছে।” আরেকজন মহিলা জানিয়েছেন, গত আগস্ট মাসে তাঁর বিয়ে হয়েছে। এরমধ্যেই প্রশাসনের তরফে তাঁর কাছে দু’বার ফোন এসেছে। ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা আধিকারিকের বক্তব্য, “আপনি তো বিবাহিত। তাহলে সন্তানধারণের জন্য এখনও প্রস্তুত হননি কেন? এবার সময় করে পরিকল্পনা করে ফেলুন।”

দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ১৯৮০ সালে উদ্যোগী হয় চিনা সরকার। জন্মনিয়ন্ত্রণে দেশের মানুষকে উৎসাহ দেওয়াই শুধু নয়, প্রত্যেক দম্পতির জন্য একটিই সন্তান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশে এখন নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি থেকে চিনা সরকার সরে এলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।