স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন এক সন্তানের মা। আর তাই গিয়েছিলেন বিষ কিনতে। কিন্তু সেখানেই গণ্ডগোল! বিষ কিনতে গিয়ে প্রেমে পড়লেন বিক্রেতার। সেই প্রেম এগিয়েও ছিল অনেকটা। দেখা-সাক্ষাৎ, একসঙ্গে ঘোরাফেরা, এমনকী শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। তালাক দেন স্বামীকে। কিন্তু প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই আবার বিষপান সীমার। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এই যাত্রায়।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বছর চারেক আগে সীমা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় শহিদুল্লার। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু সংসারে নিত্য গোলমাল। এক দিন রাগ করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন সীমা। সেই মতো গ্রামেরই একটি সারের দোকান থেকে বিষ কিনতে যান। দোকানদার রায়হান বিপদের আঁচ পেয়ে সে যাত্রা সীমাকে কোনও মতে নিরস্ত করেন। পরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: Afghanistan: নামাজ চলাকালীন মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১৪, আহত বহু
এখন সীমার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করেন রায়হান। কিন্তু বারবার অনুরোধ সত্বেও বিয়ে করছেন না। এর পরেই সীমা রায়হানের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন। কিন্তু তাতেও রায়হানের বাড়ির লোক বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায়, নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে আবার বিষ খান সীমা। আত্মীয়রা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি জানান, “স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে আমরা ভুক্তভোগী সীমাকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: Imran Khan: গাধা গাধাই থাকে, জেব্রা হয় না, এ কী মন্তব্য করলেন ইমরান খান!